৫টিআয়ের ট্রেন্ড - MAA TECHNICAL COMPUTER TRAINING CENTER

Explore of your Self-employment .................................................................................................................................. ( It is an Ideal Computer Training Center.)

Tuesday, April 21, 2015

৫টিআয়ের ট্রেন্ড


অনলাইনে আয়ের বিষয়টি এখন আর জল্পনা/কল্পনা নয়, বাস্তব সত্যবাংলাদেশের অনেকেই বর্তমানে ব্লগিং, ফ্রিল্যান্সিং, এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি বিভিন্ন মাধ্যমে আয় করছে হাজার হাজার ডলারতবে অনলাইনে আয়ের ট্রেন্ড কিন্তু সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হয়
 এ পরিবর্তনে নিজেকে ফিট করে তোলাই হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়উদাহরণস্বরুপ বলা যায়, ২ বসর পূর্বেও যারা অনলাইনে ওয়েব ডিজাইনের কাজ করতেন তাদের রেসপনসিভ ওয়েব ডিজাইন না জানলেও হতঅথচ বর্তমানে রেসপনসিভ ওয়েব ডিজাইন একটি হট ট্রেন্ডঅনলাইনে এর চাহিদা এখন তুঙ্গেআমি একটি ক্ষেত্রের কথা বললাম, এমনিভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই অনলাইনে আয়ের ট্রেন্ডস পরিবর্তন হচ্ছেনিম্নে আমি শেয়ার করছি ২০১৫ সালের ৫টি বেষ্ট অনলাইনে আয়ের ট্রেন্ডস
. ব্লগিং
ব্লগিং এমন একটি পেশা যার চাহিদা অনলাইনে ২০১৫ সাল কেন আগামি ১০০ বছরেও কমবে কিনা সন্দেহ আছেমূলতঃ দীর্ঘমেয়াদী ও হ্যান্ডসাম আয়ের জন্য ব্লগিং এর বিকল্প নেই। তবে ব্লগিং করতে হলে আপনাকে কোমড় বেধেঁ নামতে হবেআপনি যদি রাতারাতি বড়লোক হতে চান, তবে বলব Pls No Entry in Blogging world.

সঠিক ও সময়োপযোগী পরিকল্পনা, ধৈর্য ও পরিশ্রম করার মানসিকতা আপনাকে ব্লগিং এ সফলতা এনে দিতে পারেব্লগিং থেকে আয়ের উস হতে পারে গুগল এ্যাডসেন্স, এফেলিয়েট মার্কেটিং, ইমেজ এ্যাডভার্টাইজিং ইত্যাদিব্লগিং এ আয়ের কোন লিমিট নেইমাসে ১০০ থেকে ৫ হাজার ডলার বা তার উপরও হতে পারেআপনার ব্লগিং টপিকস, ভিজিটরের পরিমান, মার্কেট ট্রেন্ডস, এসইও ইত্যাদি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আয়ের পরিমান নির্ধারণ হবে
অতএব বলা যায়, ২০১৫ সালের বেষ্ট অনলাইন আর্নিংস ট্রেন্ড ব্লগিংহ্যাপি ব্লগিং, হ্যাপি আর্নিংস

. থিমফরেষ্টঃওয়েব টেমপ্লেট বিক্রয় করে আয়
বিশ্বের সর্বাধিক ও হাই কোয়ালিটি প্রিমিয়াম টেমপ্লেট ক্রয়/বিক্রয়ের মার্কেটপ্লেস থিমফরেষ্ট.নেট. এ সাইটে টেমপ্লেট এপ্রুভ করা খুব সহজসাধ্য নয়তবে আপনার টেমপ্লেট যদি হাই কোয়ালিটি ও ইউনিক হয় তবে এপ্রুভ হবেআর যদি একবার এপ্রুভ হয় তবে আপনাকে পায় কে? বিশ্বাস না হয় সাইটটি ভিজিট করেই দেখুন না http://themeforest.net. এক একটি টেমপ্লেট কয়েক হাজার বার বিক্রয় হয়ে থাকেযতবার বিক্রি হবে ততবার বিক্রয়ের উপর পাবেন ৪০% থেকে ৭০% পর্যন্ত কমিশনএ সাইটে সর্বাধিক বিক্রয় হয় ওয়ার্ডপ্রেস থিমআপনি থিম বানিয়ে এ সাইটে জমা দিবেন আর ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে আয় করবেন হাজার হাজার ডলারভাবছেন স্বপ্ন দেখাচ্ছি! নিচের লিংকে দেখুন ২০১২ এর আগষ্টে জমা দিয়েছে এ পর্যন্ত বিক্রয় হয়েছে ৬৮০৫৩ বার২ বছরে একটি থিম দিয়ে কয়েক কোটি টাকা আয় করেছে ডেভেলপার

Avada | Responsive Multi-Purpose Theme

10 Top Selling WordPress Themes

তবে হ্যাঁ, থিমফরেষ্ট কোয়ালিটির থিম তৈরির জন্য আপনাকে স্টাডি করতে হবে প্রচুর, নিজেকে গড়ে তুলতে হবে প্রফেশনাল হিসাবেশিখুন ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট অথবা জুমলা থিম ডেভেলপমেন্টএগুলো শিখতে আপনাকে জানতে হবে Html, Css, Php ইত্যাদি

. অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট
কতদিন আগেই একটা খবর সাড়া জাগাল গোটা দুনিয়ায় হোয়াটস অ্যাপ নামের স্মার্টফোনের একটি অ্যাপ্লিকেশন ফেসবুকের কাছে বিক্রি হয়েছে এক হাজার ৯০০ কোটি ডলারে!

স্মার্টফোনের এই অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ) দিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কথা বলা যায়, বার্তা পাঠানো যায় হালজমানার স্মার্টফোনে বিভিন্ন কাজ করতে অ্যাপ লাগে আবার গেমেরও আছে অনেক অ্যাপ অ্যাপ জনপ্রিয় হলে তার পরিণতি কী হোয়াটস অ্যাপের উদাহরণই এ জন্য যথেষ্ট বাংলাদেশে মুঠোফোনের ব্যবহারকারী যেমন বেড়ছে, তেমনি এখন স্মার্টফোনের সংখ্যাও বাড়ছে তাই গড়ে উঠছে অ্যাপসের বাজার বাংলাদেশের তরুণেরও আকর্ষণীয় সব অ্যাপস বানাচ্ছেন আপসের সুবিধা হলো, তৈরি হলেই এটা পেতে পারে বিশ্ববাজার দেশে মোবাইল অ্যাপস তৈরির প্রতিযোগিতা হচ্ছে, বিভিন্ন কর্মশালা প্রশিক্ষন কার্যক্রমও চলছে তাই এখন অ্যাপস তৈরিকে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়া যায় সহজেই অ্যাপস নিয়ে কাজ করছে এথিকস অ্যডভান্সড টেকনোলজি লিমিটেড (ইএটিএল) নিজস্ব অ্যাপ ষ্টোরও চালু করেছে ইএটিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মুবিন খান জানালেন, বর্তমানে বাংলাদেশেই অ্যাপস কেনা যাচ্ছে নিজের মোবাইলের ব্যালেন্স দিয়ে তাই যত বেশি অ্যাপস নির্মাতা বাড়বে, তেমনি বাড়েবে অ্যাপসের বাজার এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বাড়ছে অ্যাপসের মোবাইল অ্যাপস আসলে একধরনের সফটওয়্যার, যা মোবাইল এবং ট্যাবলেট কম্পিউটারে ব্যবহার করা যায় আবার ফেসবুকের জন্যও আছে আলাদা অ্যাপস গেম, ক্যালেন্ডার, মিউজিক প্লে-য়ার থেকে শুরু করে যেকোনো কাজের জন্যই অ্যাপ  তৈরি হতে পারে দীর্ঘদিন ধরে দেশের ও দেশের বাইরের অ্যাপস তৈরির সঙ্গে জড়িত এমসিসি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম আশ্রাফ আবীর জানান, বর্তমানে সারা বিশ্বে অ্যাপসের বাজার রয়েছে এক হাজার ১০০ কোটি ডলারের, যা আগামী বছর হবে দুই হাজার ৬০০ কোটি ডলারের এ বিশাল বাজারে কেউ যোগ দেওয়ার কথা চিন্তা করলেই তার সামনে পুরো বিশ্ব খুলে যাবে অ্যাপসের আয়ের উদাহরণ হিসেবে তিনি জানান, বর্তমানে জনপ্রিয় গেম অ্যাপ অ্যাংরি বার্ডের বছরে আয় হয় ১৯ কোটি পাঁচ লাখ ডলার! একটি মাত্র আপ দিয়েই এ আয় করে এ অ্যাপের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রোভেরিও বাংলাদেশে ১০ কোটি লোক এখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ও স্মার্টফোন খাত খুব দ্রুত বড় হওয়ায় এখন অনেকেই এ ক্ষেত্রে পেশা গড়তে চাইছেন নিজে অ্যাপস বানাতে চাইলে তাঁকে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং জানতে হবে আবার নিজের সৃজনশীল কোন ধারণা নিয়েও কারিগরি একটা দল বানিয়ে অ্যাপস নির্মাণ প্রতিষ্ঠান খোলা যেতে পারে মুক্ত সফটওয়্যার লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তামিম শাহরিয়ার তিনি জানান, চাইলে যে কেউ ফ্রিল্যান্স অ্যাপ নির্মাতা হিসেবেও কাজ করতে পারেন, আবার চাকরিও করতে পারবেন তবে অবশ্যই অপারেটিং সিস্টেম ( অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস, উইন্ডোজ ইত্যাদি) অনুযায়ী নির্দিষ্ট বিষয়ের প্রোগ্রামিং জানতে হবে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর নানা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নিয়মিত পুরস্কৃত হচ্ছেন ভবিষ্যতে তথ্যপ্রযুক্তি বাজার হবে মোবাইল ও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন বাজারকেন্দ্রিক যার কারণে প্রোগ্রামাররা এ খাতে নিজেদের পেশা গড়তে পারেন সূত্রঃ প্রথম আলো

. ফ্রিল্যান্সিং
অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে কারোই অজানা নয়অমিত সম্ভাবনাময় এ সেক্টরে রয়েছে উজ্জ্বল ক্যারিয়ার, যদি হতে পারেন দক্ষ আইটি প্রফেশনালফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান ধীরে ধীরে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছেশুধুমাত্র ২০১৫ নয়, বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে আগামি কয়েক শতক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট মাতাবে বাংলাদেশসম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে বাংলাদেশের ইল্যান্স-ওডেস্কের কান্ট্রি ম্যানেজার সাইদুর মামুন খান জানান ২০১৩ সালে বাংলাদেশের মুক্ত পেশাজীবীরা (ফ্রিল্যান্সার) শুধু ইল্যান্স ও ওডেস্কের মাধ্যমে অনলাইন আউটসোর্সিং থেকে আয় করেছেন প্রায় দুই কোটি ১০ লাখ ডলার

অদূর ভবিষ্যতে আউটসোর্সিং খাত বাংলাদেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের একটি বড় খাত হিসেবে বিবেচিত হবে
অতএব, ২০১৫ সাল সহ আগামি কয়েক শতকের হট অনলাইন আর্নিংস ট্রেন্ডস ফ্রিল্যান্সিং
. ইকমার্স
উন্নত বিশ্বের মত বাংলাদেশেও ই-কমার্স ব্যবসা দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছেসেদিন বেশি দূরে নয়, ভোক্তাদের একটা বড় অংশ অনলাইনে তাদের কেনাকাটা সেরে ফেলবে
বাংলাদেশের জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইট রকমারি.কম, আজকের ডিল, এখনি.কম ইত্যাদি সাইটসমূহ ইতিমধ্যে লাইমলাইটে চলে এসেছেজানা গেছে, ভালই সেল হচ্ছে তাদের
ই-কমার্স ব্যবসা করতে হলে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনাকেকারণ যত লেট করবেন, পিছিয়ে পড়বেন২০১৫ সাল যদি হয় আপনার ই-কমার্স ব্যবসা শুরু, অর্থা, সুন্দর একটি সাইট তৈরি, প্রোডাক্ট প্লান (কি ধরনের প্রোডাক্ট থাকবে, তার মার্কেট ডিমান্ড), কাষ্টমার সাপোর্ট সিস্টেম, এরপর আসবে সাইট মার্কেটিং/প্রোমশন ইত্যাদিএরপর........২০১৬ সাল হতে শুরু হবে আপনার ব্যবসা/লাভতার পূর্বেও হতে পারেএটা নির্ভর করে আপনার সাইটের প্রোডাক্ট, ভিজিটর, মার্কেটিং ইত্যাদি বিষয়ের উপরকত লাভ/ইনকাম হবে মাসে? এটা বলা মুশকিলতবে অনলাইন শপিং মল তো! যদি লক্ষাধিক ভিজিটর ঢুকাতে পারেন সাইটে, ভিজিটর তার কাঙ্খিত ও কোয়ালিটি জিনিষ পায়, তবে তো সারছে! মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা কামাতে পারবেন আপনিকত লক্ষ? সময়ই বলে দিবে
ই-কমার্স ব্যবসার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল ইনভেষ্টমেন্ট কম এবং পর্যায়ক্রমে ইনভেষ্টমেন্ট (অর্থা, অবস্থা বুঝে বিনিয়োগ), ফলে ঝুঁকি কম

-কমার্স সাইট তৈরি করতে পারেন না, আপনি কি -কমার্স ব্যবসা করতে পারবেন?
হ্যাঁ, আপনিও পারবেনতবে ই-কমার্স সাইট তৈরি শেখা কঠিন কিছু নয়চেষ্টা করলে আপনিও শিখতে পারবেনআর যদি নাও পারেন, কাওকে দিয়ে সুন্দর একটি সাইট তৈরি করে নিনসাইট কিভাবে মেইনটেন করবেন, অর্থা প্রোডাক্ট এড করা, অর্ডার ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি টুকিটাকি বিষয় শিখে নেনএরপর শুরু করে দিন ই-কমার্স বিজনেসআল্লাহ সহায় থাকলে সফলতা আসবেই ইনশাল্লাহ

আর হ্যাঁ, ই-কমার্স সাইট তৈরিতে দক্ষ হলে আপনি অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং সাইটেও প্রচুর কাজ করে আয় করতে পারেনফ্রিল্যান্সিং সাইটসমূহে একটু ঢু মারলেই বুঝতে পারবেন এ ধরনের কাজের পরিমান ও বাজেটধন্যবাদ সবাইকে, ভাল থাকবেন

৬. এফ-কমার্স : ফেসবুক থেকে আয়

ফেসবুকভিত্তিক ই-কমার্সই এখন পরিচিত এফ-কমার্স নামেএটি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের (এসএমএম) একটা শাখাঅল্প পুঁজিতে, এমনকি বিনা পুঁজিতে এ ব্যবসা করা যায় কোনো দোকানঘর লাগে না, ব্যবসা পরিচালনা করা যায় ঘরে বসেইদেশের যেখানেই থাকুন না কেন, ক্রেতার চাহিদামতো পণ্য ডেলিভারি দিতে পারলে এ ব্যবসায় সাফল্য আসবেইএফ-কমার্সে সফলতা নির্ভর করবে সামাজিক যোগাযোগে আপনার পারদর্শিতার ওপরআর এ কাজটির জন্য খরচার দরকার নেইপেজের লাইক সংখ্যা যত বেশি হবে, আপনার পণ্য তত বেশি মানুষের কাছে পৌঁছবেলাইক বাড়াতে আপনার চেষ্টাই যথেষ্টশুরুর দিকে পরিচিতজনদের 'ইনভাইট' করুন, বেশি বেশি শেয়ার দিনএফ কমার্স সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে কালের কন্ঠে প্রকাশিত এআর্টিক্যালটি পড়তে পারেন

No comments: